ত্বকে কালো দাগ এবং পিগমেন্টেশন এমন একটি সমস্যা যা সহজে সংশোধন করা যায় না। এই সমস্যা একবার ত্বকে এসে পড়লে, তা ঠিক করা খুব কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়ায়। হেলথলাইন অনুসারে, ত্বকে মেলানিনের অত্যধিক উৎপাদনের কারণে হাইপারপিগমেন্টেশন হয়। মেলানিন আসলে একটি রঙ্গক যা ত্বকে রঙ দেয়।এটি একটি বিশেষ ত্বক কোষ দ্বারা উৎপাদিত হয় যা বিভিন্ন কারণে এটি তৈরি করে। কখনও কখনও এটি কেমোথেরাপির মতো নির্দিষ্ট ওষুধের কারণেও হয়, যেখানে অনেক সময় গর্ভাবস্থার পরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মুখে হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যা শুরু হয়। এছাড়া সূর্যের আলোর কারণে হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যাও শুরু হয়। এমতাবস্থায় আমরা যদি কিছু বিষয় মাথায় রাখি তাহলে আমরা আমাদের মুখের ক্রমবর্ধমান পিগমেন্টেশন বন্ধ করতে পারি।
১. ফ্লুরোসেন্ট লাইট এড়িয়ে চলুন
ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ফোন, টিভি স্ক্রিন, ঘরে লাগানো ফ্লুরোসেন্ট বাল্ব হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যা বাড়ায়। এই ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত ফ্লুরোসেন্ট আলো এড়িয়ে চলুন। এমনকি বাড়িতে এসপিএফ ব্যবহার করুন।
২. খুব বেশি এক্সফোলিয়েট করবেন না
সংবেদনশীল ত্বকের এক্সফোলিয়েশনের জন্য বিশেষ যত্নের প্রয়োজন।বিশেষজ্ঞদের মতে, শুষ্ক ত্বকের জন্য সপ্তাহে দুইবার এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সপ্তাহে একবার এক্সফোলিয়েশন যথেষ্ট।
৩. ব্রণ চিকিৎসা
আপনার ব্রণ, পুঁজ স্রাব ইত্যাদি শোষণ হাইপারপিগমেন্টেশনের কারণ হতে পারে। এ কারণে মুখে, গালে, কপালে কালচে দাগ পড়ে।
৪. সানস্ক্রিন ব্যবহার
সানস্ক্রিন আপনার ত্বককে ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। এক্ষেত্রে প্রতিদিন সানস্ক্রিন বা সানব্লক লোশন ব্যবহার করুন। রোদে যাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে নিন।
৫.রাত্রিকালীন ত্বকের যত্ন
রাতের ত্বকের যত্নের রুটিন অনুসরণ করতে ভুলবেন না। যতদূর সম্ভব রাসায়নিক সমৃদ্ধ পণ্যের পরিবর্তে প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করুন।
৬. সাইট্রিক পদার্থ দিয়ে ত্বককে রক্ষা করুন
অনেকেই ত্বকের যত্নে লেবুর মতো জিনিস ব্যবহার করেন, যাতে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে। এতে ত্বকের পি এইচ ভারসাম্য নষ্ট হয়। যার কারণে আপনি যখন রোদে বের হন তখন আপনার মুখে অ্যাসিডিক প্রতিক্রিয়া দ্রুত ঘটতে পারে।
৭. এই ধরনের পণ্য এড়িয়ে চলুন
রেটিনোইক বা হাইড্রোকুইনোন অ্যাসিডযুক্ত স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট এড়িয়ে চলুন। এটি ত্বকের ঘনত্বকে ব্যাহত করে এবং ত্বকে হাইপারপিগমেন্টেশন বাড়াতে পারে।
No comments