অনেক সময় মানুষ স্বাভাবিক বলে কোনো আঘাত ছাড়াই ত্বকের নীল দাগ উপেক্ষা করে। এটি ইডিওপ্যাথিক থ্রম্বোসাইটোপেনিক পুরপুরা নামে এক ধরনের রক্তক্ষরণ ব্যাধি। এতে, একজন ব্যক্তির ইমিউন সিস্টেম রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয় প্লেটলেটের সংখ্যা কমাতে শুরু করে। এটি ইমিউন থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া পুরপুরা নামেও পরিচিত। এ সম্পর্কে জেনে নিন-
উপসর্গ: সাধারণত একজন ব্যক্তির শুধু একটি নীল ফুসকুড়ি ছাড়া অন্য কোনো সমস্যা হয় না। কিছু ক্ষেত্রে, রোগীর নাক, প্রস্রাব এবং মল থেকে অব্যক্ত রক্তপাত হতে পারে।
এটাও কারণ-
কখনো কখনো জ্বর ও ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো ভাইরাল ইনফেকশন হলে শরীরে প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যায়। ব্লাড ক্যান্সারের রোগীদের ক্ষেত্রেও এমনটা হয়। অ্যান্টিবায়োটিক বা ব্যথানাশক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রক্তে ব্যাঘাত ঘটিয়ে এ ধরনের ক্ষত সৃষ্টি করে। গর্ভাবস্থায়, ইমিউন সিস্টেমের ত্রুটির কারণে এই ধরনের দাগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বিশেষ যত্ন নিন।
মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি ঘটনা-
এই সমস্যা যেকোনো বয়সের মানুষের হতে পারে। তবে এর ঘটনা পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এ ছাড়া এ ধরনের বৃদ্ধ যারা কোনো রোগের চিকিৎসার জন্য ওষুধ খাচ্ছেন, তাদের ত্বকেও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে এই দাগ দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর আরও অনেক কারণ রয়েছে, যার কারণে এই ফুসকুড়ি হয়। ডায়েটে গাজর, টমেটো এবং পালং শাক অন্তর্ভুক্ত করুন।
তদন্ত ও চিকিৎসা-
বিশেষজ্ঞরা রক্ত পরীক্ষা পরিচালনা করে কারণ খুঁজে বের করেন। উপসর্গের ভিত্তিতে অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষাও করা হয়। রক্তের মতোই শরীরে প্লেটলেটের সংখ্যা বৃদ্ধি করে। এই সময়ের মধ্যে যদি আপনি ত্বকে কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করেন তবে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
No comments