চুল পাতলা হওয়া, মাথার ত্বকের সমস্যা, খুশকি এবং চুল ভেঙে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে লোকেরা অনেক ধরনের বিউটি প্রোডাক্ট বা চুলের তেল ব্যবহার করে। রাসায়নিক সমৃদ্ধ এই পণ্যগুলি শুধু মাথার ত্বকেরই ক্ষতি করে না বরং চুলকে শুষ্ক ও নিস্তেজ করে তোলে। চুলের ক্রমবর্ধমান সমস্যায় অস্থির হয়ে আমরা বিশেষজ্ঞদের কাছে গিয়ে সব ধরনের ব্যয়বহুল চিকিৎসা নিই। অনেক সময় এই চিকিৎসাগুলোও কাজ করে, কিন্তু কিছুদিন পর আবার একই অবস্থা হয়। এমতাবস্থায় রাসায়নিক সমৃদ্ধ তেল কেনার পরিবর্তে বিশেষ নাশপাতি বীজ থেকে তৈরি তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি একটি বিশেষ ধরনের নাশপাতি বীজ থেকে তৈরি একটি তেল, যার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি চুলের পুষ্টি জোগায় এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে এটিকে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যকর করে তোলে। তবে এটি সরাসরি চুলে না লাগিয়ে চুলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে তা বেশি কার্যকর।
১. খুশকি থেকে মুক্তি পান
আপনি যদি খুশকির সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই তেল ব্যবহার করুন। প্রকৃতপক্ষে, এই তেলটিতে খুব ভাল পরিমাণে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা এটি চুলকে খুশকি থেকে রক্ষা করতে সক্ষম করে। এছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিস্পাসমোডিক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা চুলের অনেক সমস্যা দূর করে।
২. বৃদ্ধি
অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিস্পাসমোডিক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মাইর ল্যাক্সেট, অ্যানালজেসিক-এর মতো অনেক গুণে সমৃদ্ধ এই তেল চুলকে স্বাস্থ্যকর ও মজবুত করতে খুবই উপকারী। এই তেল চুলের স্ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং চুলের ফলিকলে গিয়ে তাদের শক্তিশালী করে। এতে উপস্থিত মেন্থা, জিঙ্ক এবং সেলেনিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে কাজ করে।
৩. সংক্রমণ থেকে দূরে রাখুন
এটি বর্ষায় চুলের সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে। এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, কীটনাশক বৈশিষ্ট্যের কারণে মাথার ত্বকে সংক্রামক ব্যাকটেরিয়া যেমন ছত্রাক এবং খুশকি ইত্যাদি ব্যবহার থেকে দূরে থাকে।
৪. চুল পড়া রোধ করুন
চুল পড়া কমাতেও পারেন এই তেলের সাহায্যে। এটি চুলের গোড়া থেকে গোড়া পর্যন্ত মজবুত করে, যার কারণে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং চুল ঘন ও ঘন থাকে।
No comments