ব্যস্ততা এবং ব্যস্ত জীবনের কারণে আমরা প্রতিদিন আমাদের ত্বকের যত্ন নিতে পারি না। যার কারণে ধীরে ধীরে ত্বক প্রাণহীন হয়ে যায় এবং উজ্জ্বলতা পেতে শুরু করে। অতএব, আপনি যদি ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং সৌন্দর্য বজায় রাখতে চান তবে এর জন্য আপনার খুব বেশি ব্যয় বা সময়ের প্রয়োজন নেই। কারণ আপনার রান্নাঘরে এমন কিছু জাদুকরী উপাদান রয়েছে, যা আপনার মুখের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে এবং পুষ্টিও যোগায়। তো চলুন জেনে নিই সেই জিনিসগুলো এবং তাদের উপকারিতা সম্পর্কে।
১. লেবু
লেবু আপনার স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী তেমনি ত্বকের যত্নে উপকারী। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, লেবুর ত্বককে হালকা করার এবং গভীর পরিষ্কার করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ত্বকের দাগ থেকে মুক্তি পেতে একটি পাত্রে সামান্য বেসন নিয়ে তাতে লেবুর রস মিশিয়ে সারা মুখে লাগান। আপনি চাইলে শসার রসের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে লাগাতে পারেন।
২. হলুদ
ত্বকের অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কয়েক শতাব্দী ধরে হলুদ ব্যবহার হয়ে আসছে। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণে সমৃদ্ধ হলুদ কাঁচা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান। দেখবেন কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার মুখের রঙের পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।
৩. টমেটো
টমেটোর মুখের বর্ণ ফর্সা করতে এবং দাগ দূর করতে চমৎকার গুণ রয়েছে। প্রচুর ভিটামিনে সমৃদ্ধ টমেটো শুধু দাগই দূর করে না, আপনার ত্বককে স্বাস্থ্যকর করতে কোলাজেনের মাত্রা বাড়াতেও সহায়ক। এর জন্য এক টেবিল চামচ টমেটোর রসে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে তুলোর সাহায্যে পুরো মুখে লাগান। তারপর ১৫ মিনিট পর সাধারণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৪. চালের গুঁড়ো
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে চালের গুঁড়োতে রয়েছে প্যারা অ্যামিনো বেনজোয়িক অ্যাসিড। চালের আটা থেকে ফেসপ্যাক তৈরি করতে ২ টেবিল চামচ চালের গুঁড়োর সাথে ৩ টেবিল চামচ দুধ এবং এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে সারা মুখে লাগান। এবার হাল্কা হাতে মুখে ম্যাসাজ করুন এবং ফেসপ্যাক লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর সাধারণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৫. বেসন
এটি ঠাকুরমাদের জনপ্রিয় রেসিপিগুলির মধ্যে একটি। বেসন ব্যবহার করতে, আপনার ত্বকের প্রকৃতি অনুযায়ী, এতে দুধ বা দই যোগ করুন, এক চিমটি হলুদ যোগ করুন এবং এই মিশ্রণটি আপনার সারা মুখে লাগান। এই মিশ্রণে লেবু বা টমেটোর রসও যোগ করা যেতে পারে। মুখ উজ্জ্বল করতে এবং দাগ দূর করতে এটি খুবই কার্যকরী একটি ফেসপ্যাক।
No comments