ত্বক যদি ক্রমশ নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে, তা হলে কারই বা ভালো লাগে বলুন তো? যেমনই সাজুন না কেন, কিছুই ফুটবে না ঠিকমতো। বলিরেখা পড়বে তাড়াতাড়ি। আর তার চেয়েও বড়ো কথা হচ্ছে, শুকনো ত্বক থেকে আঁশের মতো উঠতে আরম্ভ করলে আপনার মুখে কোনও মেকআপই বসবে না। যত দামী ময়েশ্চরাইজ়ারের সাহায্যই নিন না কেন, সঠিক খাওয়াদাওয়া না করলে কাজের কাজ কিছুই হবে না। তাই জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান। চেষ্টা করুন প্রতিদিন অন্তত দু’টি গোটা ফল খাওয়ার। পাশাপাশি আরও কিছু জরুরি উপাদান যোগ করুন রোজের ডায়েটে।
মাছ: আশ্চর্য হচ্ছেন? মাছে, বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তাই ত্বকে আর্দ্রতা লক করে রাখতে এই ফ্যাটি অ্যাসিডের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। মাছের তেলও খেতে পারেন সেই সঙ্গে – সেটিও দারুণ উপকারি।
শসা: শসায় প্রচুর জল থাকে, সেই সঙ্গে থাকে ভিটামিন এ, সি, কে, ফোলেট, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, জ়িঙ্ক ইত্যাদি খনিজ। শসা খেলে আপনার শরীর ভিতর থেকে আর্দ্র থাকে, সেই সঙ্গে আপনি ফেস মাস্কের উপাদান হিসেবেও তা ব্যবহর করতে পারেন।
ফ্ল্যাক্সসিড: ফ্ল্যাক্সসিড আপনার কনস্টিপেশনের সমস্যা সারায়, ওজন কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে তার এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের রুক্ষতা কমায়। এর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট কমায় ত্বকের লালচেভাব।
বাদাম: যাঁদের ত্বকের রুক্ষতার সমস্যা আছে, তাঁদের প্রত্যেকদিনের খাদ্যতালিকায় বাদাম থাকা একান্ত প্রয়োজনীয়। তবে হ্যাঁ, ঠিক কতটা বাদাম আপনি রোজ খাবেন, তার হিসেবটা করে দেবেনআপনার পুষ্টিবিদ।
ডিম: রোজ ব্রেকফাস্টে দুটো ডিম সেদ্ধ করে খান, মাসখানেকের মধ্যেই আপনার ত্বকের স্বাস্থ্য ফিরে যাবে। কুসুম ফেলবেন না একেবারেই, তার মধ্যেই ফ্যাটের ভাগ সবচেয়ে বেশি। ফেস প্যাকেও ডিমের কুসুম ব্যবহার করতে পারেন।
সবুজ শাকসবজি: যে কোনও সবুজ শাক ভালো করে ধুয়ে নিয়মিত খাওয়া উচিত। শাকের পুষ্টিগুণ আপনার ত্বককেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
No comments