কীভাবে পাবেন অ্যালো ভেরা জেল?
এমনিতে যে কোনও কসমেটিক্সের দোকানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কৌটোবন্দী অ্যালো ভেরা জেল পাওয়া যায়। সেটা ব্যবহার করতে পারেন। আর প্রিজ়ার্ভেটিভ দেওয়া অ্যালো ভেরা ব্যবহার করতে না চাইলে অ্যালো ভেরা পাতা কেটে বের করে নিন টাটকা জেল। বাড়িতে একটু ফাঁকা জমি থাকলে বা না থাকলে টবেও তৈরি করতে পারেন অ্যালো ভেরা গাছ। একটা পাতা লম্বালম্বিভাবে কেটে ভিতরের জেলির মতো অংশটা চামচ দিয়ে বের করে নিন। এবার ইচ্ছেমতো ব্যবহার করুন।
রইল তিন ধরনের ত্বকের জন্য অ্যালো ভেরা জেল দিয়ে তৈরি তিনটি দুর্দান্ত মাস্কের হদিশ।
তৈলাক্ত/ মিশ্র ধরনের ত্বকের জন্য
যাঁদের ত্বক তেলতেলে ও প্রায়ই ব্রণ ওঠে, তাঁরা অ্যালো ভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালো ভেরা ত্বক থেকে বাড়তি তেল শুষে নিয়ে মুখ ব্রণ মুক্ত রাখে। বাটিতে খানিকটা টাটকা অ্যালো ভেরা জেল নিয়ে তাতে ১০-১২ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল যোগ করুন। এবার ভালো করে মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করে নিন। মুখে মেখে সারা রাত ওভাবেই রেখে দিন, সকালে উঠে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’ দিন ব্যবহার করবেন।
শুষ্ক ত্বকের জন্য
শুষ্ক আর অনুজ্জ্বল ত্বককে মোলায়েম আর তরতাজা করার জন্য ফেস মাস্ক বানান অ্যালো ভেরা জেল, মধু আর শসা দিয়ে । এই তিনটি উপাদানই হাইড্রেটিং এজেন্ট যা আপনার শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে পারে। একটা শসা ব্লেন্ড করে নিয়ে তাতে এক টেবিলচামচ মধু আর এক টেবিলচামচ অ্যালো ভেরা জেল মেশান। এবার তিনটি উপাদান খুব ভালোভাবে একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি মুখে মেখে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
স্বাভাবিক/সংবেদনশীল ত্বকের জন্য
অ্যালো ভেরা জেল আর পাকা কলা, দুটিই ত্বক আর্দ্র আর কোমল করে তুলতে দারুণ কাজের। এটি সব ধরনের ত্বকেই কাজ করে, বিশেষ করে স্বাভাবিক ত্বকে আর সংবেদনশীল ত্বকে। একটা পাকা কলা ভালোভাবে চটকে নিন, তাতে ২ টেবিলচামচ অ্যালো ভেরা জেল আর কয়েক ফোঁটা গোলাপজল যোগ করুন। ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি মুখে মাখুন। শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে ফেলে ময়শ্চারাইজ়ার লাগিয়ে নিন।
No comments