প্রতিদিন রাতে ফুটবাথ নিয়ে, পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়েও কেন পায়ের রূপ ফিরছে না? হ্যাঁ, কিছু না করার চেয়ে এটুকু করা নিঃসন্দেহে ভালো। কিন্তু এতেই যে আপনার পায়ের স্বাস্থ্য একেবারে ফিরে যাবে, তা ভেবে থাকলে কিন্তু ভুল করছেন! যদি সত্যিই ঝকঝকে সুন্দর পায়ের মালিক হতে চান, তা হলে নিয়মিত ক্লেনজ়িং, টোনিং, ময়েশ্চরাইজ়িংয়ের রুটিন তার জন্যও বরাদ্দ করতে হবে। সেই সঙ্গে মাঝে-মধ্যে মুখের জন্য তৈরি করা প্যাকের একটি পরত পায়ের পাতায় লাগিয়ে রাখুন – তার রূপ দেখে নিজেরই তাক লেগে যাবে!
পা শুকনো রাখুন সব সময়ে: শীত বলেই মোজা নিশ্চয়ই আপনার রোজের সাজপোশাকের আবশ্যক অঙ্গ হয়ে উঠেছে? সেই সঙ্গে ঢাকা জুতোও পরছেন তো? এর ফলে আপনার পা যেমন পরিষ্কার থাকবে, তেমনই আবার ঘামবেও। যেদিন স্যাঁতসেঁতে ঠান্ডা, সেদিন ভেজাভাব আঁকড়ে ধরবে জুতোর ভিতরেরর দিকটাও। তাই প্রতিদিন এক জুতো পরবেন না এবং তা নিয়মিত শুকনো রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। সব জুতো কিন্তু রোদে দেওয়া যায় না, দরকারে ড্রায়ার ব্যবহার করুন। জুতোর ভিতরে খবরের কাগজ বা টিস্যু পেপার মুড়ে রেখে দিলেও আর্দ্রতা শুষে নেবে তা। পায়ে জল দেওয়ার পরেই তা ভালো করে মুছে নিতে হবে। তার পর ক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলির পরত লাগান। ভেজা পা নানা ধরনের অ্যালার্জি বা ফাঙ্গাল ইনফেকশনের কারণও হতে পারে কিন্তু!
সুতির মোজা পরুন: অন্তর্বাসের ক্ষেত্রে এমন ফ্যাব্রিক বাছাটাই বিধেয় যা আপনার ত্বককে নির্দ্বিধায় শ্বাস নিতে দেবে। সুতির মোজার উপর নিশ্চিন্তে ভরসা রাখতে পারেন। তবে দিনে সাত-আট ঘণ্টা পরার পর পরদিন আর সেই মোজাই পরতে যাবেন না। মোজা পরার আগে পা একেবারে শুকনো করে নেওয়াটাও বাধ্যতামূলক।
আপনার জুতোর ফিটিং ঠিক কিনা দেখে নিন: প্রয়োজনের চেয়ে বেশি টাইট বা আলগা জুতো শখ করে কে-ই বা পরতে চাইবেন? কিন্তু এমন এক-আধটা জোড়া কমবেশি সকলের সংগ্রহেই থাকে যা পরলেই পায়ে ফোসকা পড়ে, বা কড়া পড়ে যায় – তাই না? শীতের দিনে অন্তত এই সব জুতো থেকে শত হস্ত দূরে থাকুন। এই জুতোর কারণেই বাধাপ্রাপ্ত হবে পায়ের রক্ত চলাচল। জুতো পায়ের চেয়ে বড়ো হলেও বাড়তি ঘর্ষণের কারণে অসুবিধে হতে পারে।
রাতে শোওয়ার সময় পায়ে হটব্যাগ বা গরম জলের বোতল রাখবেন না: অনেকেরই পা খুব ঠান্ডা হয়ে যায় এবং শীতের রাতে অত ঠান্ডা পা নিয়ে ঘুমোনো কঠিন। তাই তাঁরা হটব্যাগের সাহায্য নেন। তবে গরম জলের বোতল বা হট ব্যাগ নিশ্চয়ই কম্বল বা লেপের নিচেই থাকবে? তাতে কিন্তু শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়ে যায়। তার চেয়ে মোজা পরে শুতে পারেন।
সঠিক ময়েশ্চরাইজ়ার ব্যবহার করুন: নারকেল বা অলিভ তেল, পেট্রোলিয়াম জেলি বা ঘন কোনও ফুট ক্রিম পায়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে। তবে ময়েশ্চরাইজ়ার লাগানোরআগে অবশ্যই আগে পা গরম জলে ডুবিয়ে রাখুন এবং খানিক পরে তুলে পামিস স্টোন দিয়ে ভালো করে ঘষে তুলে ফেলুন যাবতীয় মৃত ত্বকের পরত। তার পর ময়েশ্চরাইজ়ার লাগিয়ে মোজা পরে নিন। ভুলবেন না নখের যত্ন নিতেও। নখ ঠিকভাবে কাটুন, পরিষ্কার করুন। তা না হলে কিন্তু নখেও ইনফেকশন হতে পারে।
No comments