সারা বছর নিয়ম করে ত্বকের যত্ন নেন, নিয়ম করে ত্বক পরিষ্কার করা, ময়েশ্চারাইজ় করা, শুতে যাওয়ার আগে মেকআপ তোলা, কোনও কিছুই বাদ দেন না, অথচ কিছুতেই সেই দীপ্তি পাচ্ছেন না? আপনার প্রতিদিনের খাবারে কিন্তু এর সমাধান লুকিয়ে থাকতে পারে! না, সবসময় পুষ্টিকর খাবার খেলেই যে ত্বক ভালো থাকে তা নয়, বরং বেশ কিছু পুষ্টিকর খাবার থেকেই ত্বকে দেখা দিতে পারে হাজাররকম সমস্যা। তাই নিয়ম করে যত্ন নিয়েও যদি ত্বকে উজ্জ্বলতা আর স্বাস্থের দীপ্তি না পান, তা হলে খাবারের তালিকাটা একটু অদলবদল করে নিতে হবে। নিচে রইল তিনটি খাদ্য যা থেকে ত্বকে নানা সমস্যার সূত্রপাত হওয়া মোটেই বিচিত্র নয়!
দুধ ও দুধ থেকে তৈরি খাবার
শুনলে হয়তো অনেকেই বিশ্বাস করবেন না, কিন্তু দুধ, চিজ়, মাখন বা দই সবসময় আপনার ত্বকের উপযোগী নাও হতে পারে! বরং এ সব খাবার থেকে ত্বকের ক্ষতি হওয়াও অসম্ভব নয়! দুধের খাবারে কিছু হরমোন জাতীয় উপাদান থাকে যা ত্বকে তেল উত্পাদনের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। শরীরে বেশি মাত্রায় তেল তৈরি হতে থাকলে রোমছিদ্র বন্ধ হয়ে ব্রণ ফুসকুড়ি দেখা দেওয়াটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা! সাধারণ দুধের চেয়েও স্কিমড মিল্ক এ ক্ষেত্রে বেশি ক্ষতিকর। তাই দুধের খাবার যতটা পারেন কম খান। দুধের পরিবর্তে আমন্ড মিল্ক বা সয়া মিল্ক খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। মাখন থেকেও আবার অনেকের ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়, তাই মাখন খাওয়াও যতটা সম্ভব কমানো দরকার।
চিনি
মিষ্টি যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁদের পক্ষে চিনি ছেড়ে দেওয়াটা মুশকিল। কিন্তু অপরিমিত চিনি শুধু আপনার ওজনই বাড়ায় না, ত্বকেরও ভীষণ ক্ষতি করে দেয়। চিনির কারণে রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে ত্বকে বেশি করে তেল উত্পাদন হতে থাকে। চিনি ত্বকের কোলাজেন আর ইলাস্টিন ভেঙে দেয়, ফলে ত্বকের টানটান ভাব হারিয়ে গিয়ে বলিরেখা দেখা দেয়। তাই চিনি যতটা সম্ভব কম খান, বদলে মিষ্টি স্বাদের ফল খেতে পারেন। মিষ্টি খাওয়ার চাহিদাও মিটবে, আবার ফলের অ্যান্টি-অক্সিডান্ট ত্বক ভালোও রাখবে!
নুন
খেয়াল করে দেখবেন, যাঁরা বেশি নুন খান, তাঁদের মুখচোখ একটু ফোলা থাকে। তার কারণ নুন শরীরে জল ধরে রাখে, ফলে চোখমুখ ফোলা দেখায়। বিশেষ করে চোখের নিচের নরম অংশে এই ফোলাভাব বেশি দেখা যায়। এ ছাড়া অতিরিক্ত নুন খেলে ত্বক ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে এবং ত্বক রুক্ষ, খসখসে দেখায়, ত্বকে বয়সের ছাপও অনেক বেশি পড়ে। তাই লো সোডিয়াম খাবার খাওয়াই সবচেয়ে ভালো।
No comments