সমুদ্রের ধারে ছুটি কাটিয়ে ফিরে আসার পর নিজের মুখটা আয়নায় দেখে চমকে উঠেছেন কখনও?
গায়ের রং ভীষণ কালো লাগছে? ত্বক রোদে পুড়ে গেলে কালো বা তামাটে হয়ে যায়, অনেক সময় সঙ্গে কালো দাগছোপ, ত্বকের রং কোথাও হালকা, কোথাও গাঢ় দেখায়। এরকম হলে মন খারাপ হওয়া খুব স্বাভাবিক! আমরা জানিয়ে দিচ্ছি তিনটি প্রাকৃতিক সমাধান, যা নিয়মিত ব্যবহার করলে রোদে পোড়া ত্বকের কারণে আর বিব্রত হতে হবে না আপনাকে!
লেবুর রস আর মধু
প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে লেবুর রসের ব্যবহার বহু প্রচলিত। ভিটামিন সি থাকার কারণে ত্বক উজ্জ্বল করে তুলতেও কাজে লাগে লেবুর রস। শরীরের যে অংশ রোদে পুড়ে ট্যানড হয়ে গেছে, সেখানে লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে ঘষলে কালচেভাব ধীরে ধীরে কেটে যাবে।
কীভাবে বানাবেন: দু’ টেবিলচামচ অর্গানিক মধুতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশান। তারপর রোদে পোড়া অংশে লাগিয়ে ২০ মিনিট মতো রেখে দিন, তারপর ধুয়ে ফেলুন। দিনে দু’বার করে কয়েক সপ্তাহ করলেই ধীরে ধীরে ফিরে পাবেন স্কিনের আসল রং।
কাঁচা দুধ আর হলুদ
দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড কোমলভাবে ট্যানের কালো দাগ তুলে ফেলতে পারে, পাশাপাশি সানবার্নও কমায়। কাঁচা দুধের সঙ্গে সামান্য হলুদ মিশিয়ে মাখলে ত্বকের কালো দাগছোপ ধীরে ধীরে হালকা হয়ে আসে, ত্বক আর্দ্র আর কোমল থাকে।
কীভাবে বানাবেন: আধকাপ কাঁচা দুধে একচিমটি হলুদগুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এবার ওই মিশ্রণে তুলো ভিজিয়ে ট্যান হয়ে যাওয়া অংশে লাগান। আধঘণ্টা রেখে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন।
শসা আর গোলাপজল
রোদে পোড়া, ক্লান্ত ত্বকে স্নিগ্ধতা যোগাতে জুড়ি নেই শসার। শসা ত্বককে শীতল করে, রোদে পোড়ার জ্বালা কমায় এবং প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের ট্যানলাইন হালকা করে দেয়।
কীভাবে বানাবেন: একটা শসা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়ে তাতে গোলাপজল মেশান। এবার শসার টুকরো সমেত গোলাপজলটা ব্লেন্ডারে দিয়ে পিউরি করে নিন। শসা আর গোলাপজলের এই পিউরি মুখে আর গলায় খুব ভালো করে মেখে আধ ঘণ্টা রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলে ময়শ্চারাইজ়ার মেখে নিন।
No comments