ত্বকের যত্নের জন্য ছোটখাটো ঘরোয়া টোটকা প্রয়োগ করতে ভালোই লাগে। যতই হোক, ঘরোয়া টোটকার উপকরণ সহজলভ্য, বানিয়েও নেওয়া যায় চট করে আর নিয়মিত প্রয়োগে কাজেও দেয় ভালো। কিন্তু এ সব টোটকা বানাতে গিয়ে আমরা অনেক সময় এমন কিছু উপাদান ব্যবহার করে ফেলি যে তা আখেরে ত্বকের পক্ষে ক্ষতিকারক। নিচে তেমনই কিছু টোটকার কথা বলা হল, যা এড়িয়ে চলতে পারলে আপনারই সুবিধে।
নুন, চিনি বা বেকিং সোডা দিয়ে এক্সফোলিয়েশন
অনেকেই মনে করেন এই খসখসে উপাদানগুলো দিয়ে মুখ এক্সফোলিয়েট করলে ত্বক কোমল হয়ে ওঠে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই রুক্ষ উপাদানগুলো ত্বকের ক্ষতিই করে। গোড়ালি, কনুইয়ের মতো জায়গায়, অর্থাৎ যেখানে ত্বক পুরু, সেই অংশের এক্সফোলিয়েশনের জন্য নুন, চিনি বা বেকিং সোডা কার্যকরী হতে পারে, মুখের ক্ষেত্রে নয়। মুখের ত্বক অনেক বেশি কোমল। কোমল ত্বকে রুক্ষ উপাদান দিয়ে ঘষলে ত্বক ছড়ে যেতে পারে, ত্বকের নিচের সূক্ষ্ম রক্তজালক ছিঁড়ে গিয়ে রক্তপাতও হতে পারে।
ব্রণ সারাতে টুথপেস্ট
দ্রুত ব্রণ শুকোনোর জন্য আমরা অনেকেই এই টোটকাটি প্রয়োগ করেছি। কিন্তু এ অভ্যাস এক্ষুনি বন্ধ করতে হবে। টুথপেস্টের পারঅক্সাইড আর বেকিং সোডার কারণে ব্রণ শুকিয়ে গেলেও ত্বকে জ্বালাভাব হতে পারে। ব্রণ শুকোনোর জন্য ত্বক পুড়িয়ে ফেলা কি কোনও কাজের কথা হল?
ডিও স্টিক দিয়ে ম্যাট প্রাইমার
ডিও স্টিক বা ডিওডোরান্ট শরীর থেকে নির্গত ঘাম শুষে নিতে পারে, তেল নয়। এই কথাটা প্রথমেই বুঝে নিতে হবে। কাজেই মুখ থেকে সেবাম নিঃসরণ বন্ধ করতে মুখে ডিও স্টিক ঘষতে যাবেন না। মুখের তেলতেলে ভাব তো কমবেই না, উলটে ডিও-র পাউডারের কারণে ত্বক জ্বালা করতে পারে, এমনকী ব্রণ বা অ্যালার্জি বেরোনোও বিচিত্র নয়!
হেয়ার স্প্রে দিয়ে মেকআপ সেট
চুল সেট করার জন্য যে জিনিসটা ব্যবহার করেন, মেকআপ সেট করার জন্যও সেটাই ব্যবহার করছেন? মুশকিল হচ্ছে, লিপস্টিক দিয়ে ব্লাশারের কাজটা করে নেওয়ার মতো কিছু শর্টকাট প্রয়োগ করা গেলেও সব কিছু দিয়ে সব কিছুই কিন্তু হয় না! টেক্সচারের দিক থেকে ভারী আর চটচটে হেয়ার স্প্রে মেকআপ সেট করার পক্ষে মোটেই কার্যকর নয়। উলটে ত্বক ভীষণ শুকনো আর খসখসে হয়ে যেতে পারে।
লেবু দিয়ে মুখ পরিষ্কার
অনেকেই সরাসরি মুখে লেবু ঘষেন। আপনারও তেমন অভ্যেস থাকলে এক্ষুনি থামানোর সময় এসেছে। লেবুর অ্যাসিড ত্বক পুড়িয়ে দেয় তো বটেই, নিয়মিত লেবু লাগালে ত্বকে অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবও পড়ে তুলনায় অনেক বেশি। এর ফলে ত্বকে পিগমেন্টেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে, এমনকী ত্বকের ক্যান্সারের আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
No comments