ফরসা হওয়া নিয়ে আলাদা করে আমাদের মোটেই কোনও মাথাব্যথা নেই। উলটে আমরা বিশ্বাস করি, যে ত্বকের রং নিয়ে আপনি জন্মেছেন, তা নিয়ে সুখে থাকাটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও ঠিক যে যদি ত্বকের যথাযথ যত্ন নেন, পিগমেন্টেশন ও প্যাচ থেকে দূরে থাকতে পারেন, ওপেন পোরসের সমস্যা না থাকে, তা হলে আপনার গায়ের রং অনেকটাই উজ্জ্বল মনে হবে।
নিজের স্বাস্থ্য ভালো রাখার চেষ্টা করুন: আপনার স্বাস্থ্য যত ভালো হবে, তত ঝলমল করবে ত্বক। তাই প্রচুর জল খান, প্রতিদিন অন্তত তিনটি গোটা ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। দূরে থাকুন চিনি ও যে কোনও রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট থেকে। অতিরিক্ত চা-কফি খেলেও কিন্তু ত্বকের স্বাস্থ্যহানি হয়। যাঁদের দুধ খেলে সমস্যা হয় না, তাঁরা দুধ রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়।
সঠিক প্রডাক্ট চিনুন: ত্বক পরিষ্কার করার জন্য বা আর্দ্রতা জোগানোর জন্য প্রাকৃতিক, ঘরোয়া সামগ্রীর উপর আস্থাশীল হোন। নারকেল বা অলিভ তেল, বিশেষ করে এক্সট্রা ভার্জিন কোল্ড প্রেসড তেল ত্বকের জন্য খুব ভালো। নারকেল তেল লাগিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন, তা মেকআপ রিমুভার হিসেবেও আদর্শ। দুধ, দই বা সর দিয়েও ত্বক পরিষ্কার করা যায়। মা-দিদিমাদের বাতলে দেওয়া ঘরোয়া প্যাকের উপর আস্থা রাখতে পারেন।
ট্রাই করুন সঠিক শেডের হেয়ার কালার: আপনার হেয়ারস্টাইলিস্টের হাতের গুণেও ত্বকের রং হালকা দেখাবে, সেটা জানেন? হেয়ার কালারের শেড তাঁকেই বেছে নিতে দিন – ফল দেখে নিজেই চমকে যাবেন!
সেরা সানস্ক্রিন বেছে নিন: আপনার ত্বককে সমস্ত রকম দাগ-ছোপ থেকে দূরে রাখতে পারে সানস্ক্রিন লোশন। তাই সানস্ক্রিন বাছাইয়ের ব্যাপারে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা একান্ত প্রয়োজনীয়। গন্ধহীন, রংহীন সানস্ক্রিন বাছুন সম্ভব হলে। জ়িঙ্ক অক্সাইডযুক্ত সানস্ক্রিন বেশি কার্যকর।
ব্যায়াম করুন নিয়মিত: না, বিরক্ত হয়ে মুখ ফেরাবেন না প্লিজ়। বরং আমাদের পরামর্শ মতো যথাযথ ব্যায়াম আর ঘুমের রুটিনটা মেনে চলুন। ব্যায়াম করলে রক্ত সঞ্চালনের হার ভালো হয়, তাই আপনার ত্বক এমনিতেই স্বাস্থ্যের আভায় ঝলমল করবে।
No comments