ত্বকের জন্য কোনও ম্যাজিক তেলের সন্ধানে আছেন? এমন কোনও তেল যা নিমেষে শুষে যাবে ত্বকে, তেলাভাব একেবারেই থাকবে না, অথচ ত্বক হয়ে উঠবে কোমল আর মসৃণ? আপনার সন্ধানের একটাই উত্তর, ক্যামেলিয়া অয়েল। টি সিড বা গ্রিন টি অয়েল বলেও পরিচিত এই তেলটি। ফ্রি র্যাডিকালস জনিত ক্ষতি প্রতিরোধ করতে ত্বকের উপর একটি প্রাকৃতিক সুরক্ষার আস্তরণ তৈরি করে দেয় এই তেল। তা ছাড়া এতে পর্যাপ্ত অ্যান্টি-অক্সিডান্ট রয়েছে যা ত্বকে অকালবার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না, ত্বক মোমের মতো মসৃণ আর টানটান রাখে।
এখনও ভাবছেন কেন আপনার প্রতিদিনের রূপ-রুটিনে ক্যামেলিয়া অয়েল অপরিহার্য? তা হলে জেনে নিন তার আরও কিছু গুণ!
প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার
ক্যামেলিয়া অয়েলের পুষ্টিকর উপাদান ত্বককে গভীর থেকে কোমল আর মসৃণ করে তোলে, কোনওরকম তেলাভাব ছাড়াই। ত্বকের কোথাও কোনওরকম রুক্ষতা থাকলে সেখানে ক্যামেলিয়া অয়েল লাগান, ম্যাজিকের মতো ফল পাবেন। কনুই, হাঁটু, পায়ের গোড়ালিতে কয়েক ফোঁটা ক্যামেলিয়া অয়েল লাগিয়ে নিলে রুক্ষতা আর কালচে ছোপ, দুই সমস্যা থেকেই মুক্তি পাবেন।
বয়সের ছাপ থেকে রেহাই
আগেই বলেছি, ক্যামেলিয়া অয়েল অ্যান্টি-অক্সিডান্টের ভাঁড়ার। ফলে মুখে বলিরেখা, সূক্ষ্ম রেখা, বয়সের দাগ সব কিছুই রুখে দিতে পারে। পাশাপাশি এই তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই রয়েছে যা ত্বকে প্রাকৃতিকভাবে সুরক্ষা জোগায়।
প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন
সূর্যের তাপ থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে ক্যামেলিয়া অয়েল মাখুন। আপনার রেগুলার সানস্ক্রিনের সঙ্গে মিশিয়েও মাখতে পারেন। রোদের ক্ষতি ত্বককে ছুঁতেও পারবে না!
ঘরোয়া ফেস স্ক্রাব
আপনার দরকার:
১ চামচ ক্যামেলিয়া অয়েল
২ চামচ সাদা কেওলিন পাউডার
১ চামচ বেকিং সোডা
১ চামচ গোলাপজল
২ ফোঁটা ইলাং ইলাং এসেনশিয়াল অয়েল (ঐচ্ছিক)
পদ্ধতি
বেকিং সোডার সঙ্গে কেওলিন পাউডার মিশিয়ে নিন এবার তাতে ক্যামেলিয়া অয়েল আর এসেনশিয়াল অয়েল যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। আপনার স্ক্রাব তৈরি! স্ক্রাব খুব ঘন মনে হলে আরও কয়েক ফোঁটা ক্যামেলিয়া অয়েল দিয়ে একটু পাতলা করে নিতে পারেন। তবে খুব পাতলা করবেন না।
এই মাস্কটি মুখে লাগিয়ে বৃত্তাকারে মাসাজ করুন। নাক আর চিবুকের অংশে ভালো করে মাসাজ করবেন। পাঁচ মিনিট মাসাজের পর হালকা গরম জলে মুখ ধুয়ে নিন। ত্বক নিমেষে কোমল মনে হবে। একটা বাড়তি উজ্জ্বলতাও পাবেন।
No comments