বয়সের ছাপ সবার আগে ধরা দেয় চোখের কোলে। সূক্ষ্ম রেখা, সামান্য কুঞ্চন, চোখের কোলে ফোলাভাব জানান দেয় বয়স হল। আবার অনেক সময় অনিয়মিত জীবন, ঘুমের অভাব, স্ট্রেসজনিত কারণও ছাপ রেখে যায় চোখের কোলে। চোখের নিচের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল আর পাতলা হওয়ার কারণে সাধারণ ময়েশ্চারাইজ়ার বা ক্রিম দিয়ে এ সব সমস্যার মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। তার জন্য দরকার আন্ডার আই ক্রিমের বিশেষ যত্ন।
কেন ব্যবহার করবেন আন্ডার আই ক্রিম?
আগেই বললাম, চোখের নিচের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল। আমাদের দৈনন্দিন রুটিনে সামান্য হেরফের হলেই সে ছাপ সবার আগে ধরা পড়ে চোখের নিচে। বলিরেখা, ডার্ক সার্কল, বিবর্ণভাব কমিয়ে ত্বকে পুষ্টি জোগায় আন্ডার আই ক্রিম। চোখের কোলের ফোলাভাব কমিয়ে চোখ উজ্জ্বল করে তুলতেও জুড়ি নেই আন্ডার আই ক্রিমের।
কীভাবে বাছবেন আপনার উপযুক্ত আন্ডার আই ক্রিম?
দিনের বেলায় সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর যুক্ত আই ক্রিমই ব্যবহার করা উচিত। অন্তত এসপিএফ ৩০ যুক্ত আই ক্রিম বাছুন। এজ স্পট বা অন্যান্য দাগছোপ কমাতেও এসপিএফ যুক্ত আই ক্রিম খুব কাজের। কোনও কারণে চোখের নিচের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তা কমাতে পারে আন্ডার আই ক্রিম।
ব্যবহার করার নিয়ম
খুব হালকা হাতে সাবধানতার সঙ্গে আই ক্রিম মাখতে হবে। সতর্ক থাকবেন ক্রিম যেন চোখে ঢুকে না যায়, কারণ তাতে চোখ লাল হয়ে জ্বালা করতে পারে। আই ক্রিম মাখার আগে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করে নেবেন। খুব অল্প ক্রিম অনামিকার ডগায় নিয়ে আলতোভাবে চোখের নিচের কোলে লাগিয়ে নিন। দেখবেন, চোখের পাতায় যেন ক্রিম না লাগে। চোখের উপরের পাতাতেও ক্রিম লাগাবেন না।
কোন বয়স থেকে আন্ডার আই ক্রিম ব্যবহার করবেন?
তিরিশে পা দেওয়ার ঠিক আগে থেকেই আন্ডার আই ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন স্বচ্ছন্দে। রাতে শুতে যাওয়ার ১৫ মিনিট আগে ক্রিম লাগান। তেমনি ঘুম থেকে ওঠার পরেও লাগাতে পারেন। চোখের কোল শুকনো লাগছে মনে হলে সারাদিনের মধ্যেও
অল্প ক্রিম লাগানো যায়।
আই ক্রিমেই কি চোখের কোলের সব সমস্যা দূর হবে?
আই ক্রিম দিয়ে চোখের কোলের কালি, ফোলাভাব, বলিরেখা কমানো সম্ভব। কিন্তু শুধু আই ক্রিম দিয়ে স্থায়ী সমাধান খুঁজতে গেলে ভুল করবেন। সবার আগে দরকার সমস্যার মূল কারণগুলোকে উচ্ছেদ করা। রাতে ভালো করে ঘুমোন, মন শান্ত রাখুন, চেষ্টা করুন যথাসম্ভব চাপমুক্ত থাকতে। রোদে বেরোনোর সময় সানগ্লাস আর ছাতা ব্যবহার করুন। ত্বক সুস্থ থাকবে, চোখও হয়ে উঠবে উজ্জ্বল, সতেজ!
No comments