Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

অ্যাম্বুলেন্স-শববাহী গাড়ি পরিষেবা না পেয়ে কাঁধে মৃতদেহ তুলে শেষকৃত্যের পথে চললেন স্বামী ও ছেলে

অমানবিক দৃশ্য জলপাইগুড়িতে। মৃতদেহ কাঁধে করে নিয়ে চললেন স্বামী ও তার ছেলে। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ জেলা সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে  অ্যাম্বুলেন্স এবং শববাহী গাড়ি পরিষেবা না পেয়ে কাঁধে করে তুলে নিয়ে পায়ে হেঁটে চলল…

 


অমানবিক দৃশ্য জলপাইগুড়িতে। মৃতদেহ কাঁধে করে নিয়ে চললেন স্বামী ও তার ছেলে। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ জেলা সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে  অ্যাম্বুলেন্স এবং শববাহী গাড়ি পরিষেবা না পেয়ে কাঁধে করে তুলে নিয়ে পায়ে হেঁটে চললেন সুদূর ক্রান্তি দিকে।



 এদিনের এই অমানবিক ঘটনার পিছনে পরিবারের লোকজন দায়ী করছেন এক ধরনের দালাল চক্রকে। পরিবারের তরফ থেকে নেতা মহিলার ছেলে  রাম প্রসাদ দেওয়ান জানান বুধবার তার মাকে জলপাইগুড়ি জেলা মেডিক্যাল কলেজ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করান শারীরিক অসুস্থতার কারণে। ভোর রাতের দিকে মৃত্যু হয় মায়ের। এরপরে মৃতদেহ নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ও শববাহী গাড়ির খোঁজ করতে গেলে বিশাল অংকের টাকা দাবী করেন অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা। তাদের কাছে ওই অর্থ না থাকায় শেষমেষ মায়ের মৃতদেহকে কম্বলমুড়ি দিয়ে ঘাড়ে করে নিয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেয়। 



এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শববাহী গাড়ী। তবে এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন জলপাইগুড়ি জেলা মেডিক্যাল কলেজ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের এম এস ভি পি কল্যাণ খাঁ। পাশাপাশি তিনি বলেন এক্ষেত্রে ফ্রি অফ কষ্টেও গাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় মৃত পরিবার পরিবারগুলিকে। তবে কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটলো সম্পূর্ণ বিষয়টি তিনি খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন। তবে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনার সত্যি চোখ দিয়ে অঝরে জল পড়ে। এটাই কি সভ্য সমাজের নিয়ম নীতি একজন অসহায় পরিবার বৃদ্ধ স্বামী ও ছেলে নির্মমভাবে তার মায়ের মৃতদেহকে কাঁধে করে দিয়ে বাড়ি ফিরছেন পায়ে হেঁটে। যদিও বা পরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের গাড়ি এসে সেই মৃতদেহ বিনা পয়সায় নিয়ে যান।

No comments