ঘটনাটি ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ৩৫ ব্যাটালিয়নের সীমা চৌকি নির্মলচর এলাকায় ঘটে।
ভারতীয় কৃষকদের অভিযোগ অনুযায়ী, বাংলাদেশী কৃষকরা তাদের গবাদি পশু চরানোর জন্য ভারতীয় কৃষকদের ক্ষেতে প্রবেশ করে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের ফসলের ক্ষতি করে। কৃষকদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে জওয়ানরা তাদের সুরক্ষার জন্য সীমান্তের কাছে একটি অস্থায়ী পোস্ট তৈরি করেছে, যাতে ভারতীয় কৃষক নির্ভয়ে তাদের জমিতে চাষের কাজ করতে পারে।
প্রতিদিনের মতো আজও সীমা চৌকি নির্মলচরের জওয়ানরা সীমান্তে ডিউটিতে ছিলেন। প্রায় ০৯৪৫ ঘটিকায়, বাংলাদেশ দিক থেকে শতাধিক দুষ্কৃতী ভারতীয় অংশে প্রবেশ করে এবং লাঠি, রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে জওয়ানদের উপর হামলা চালায় এবং তাদের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে দুর্বৃত্তরা বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। হামলায় দুই জওয়ান গুরুতর আহত হয়েছেন । খবর পেয়ে জওয়ানদের দ্রুত সেখান থেকে নিকটস্থ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার সাথে সাথে বিএসএফ কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে বিজিবি কর্মকর্তাদের ঘটনাটি অবহিত করেন এবং একটি পতাকা বৈঠকের আয়োজন করতে বলেন যাতে বাংলাদেশী দুর্বৃত্তদের কাছ থেকে জওয়ানদের অস্ত্র উদ্ধার করা যায় এবং ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা যায়। অতীতেও ভারতীয় কৃষকদের ফসল নষ্ট করার এবং বাংলাদেশিদের জোরপূর্বক ভারতীয় জমিতে তাদের গবাদি পশু চরানোর অনেক ঘটনা ঘটেছে এবং বিজিবিকেও এ বিষয়ে বলা হয়েছে কিন্তু বিজিবি এ ধরনের ঘটনা বন্ধে সুনির্দিষ্ট কিছু করেনি।
বিএসএফ রাণীতলা থানায় অজানা বাংলাদেশি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে।
ঘটনা সম্পর্কে অবগত ব্যক্তিরা বলেছেন যে চোরাকারবারিরা এবং অপরাধমূলক উদ্দেশ্যযুক্ত লোকেরা যখন সীমান্তের ওপারে তাদের অবৈধ কার্যকলাপে সফল হয় না, তখন তারা জওয়ানদের উপর আক্রমণ করে। তারা বলেছেন যে, বিএসএফ জওয়ানদের উপর অতীতে একাধিকবার চোরাকারবারি এবং তাদের সহযোগীদের দ্বারা পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করা হয়েছে কিন্তু তবুও জওয়ানরা তাদের পরিকল্পনা সফল হতে দেয়নি। নির্মলচর এলাকাটি খুবই দুর্গম এবং এখানে সুযোগ-সুবিধা না থাকা সত্ত্বেও বিএসএফ জওয়ানরা দিনরাত সীমান্ত পাহারা দিচ্ছেন।
No comments