ঘামাচি থেকে বাঁচতে অনেকেই বাজারচলতি পাউডার মাখেন। খনিকের স্বস্তিও মেলে তাতে। আর এই অভ্যাসের দিকেই আঙুল তুলছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের বক্তব্য ঘামাচির সমস্যা থেকে বাঁচতে যাঁরা গায়ে পাউডার লাগান তাঁরা আরও ভুল করেন, কারণ তাতে আমাদের ত্বকের গ্রন্থিগুলোর মুখ বন্ধ হয়ে যায়। তাতে আরও বাড়ে ঘামাচি। চিকিৎসক সায়ন্তন মিত্র বলছেন, ‘‘ত্বকের মৃত কোষ এবং স্টেফ এপিডারমাইডিস নামের জীবাণু ত্বকের লোমকূপের সঙ্গে থাকা ঘামগ্রন্থির মুখ বন্ধ করে দেয়। উষ্ণ আবহাওয়ায় প্রতি নিয়ত শরীরে ঘাম তৈরি হতে থাকে। কিন্তু ঘামগ্রন্থির মুখ বন্ধ থাকায় সেই ঘাম বার হতে পারে না। তাই লাল ফুসকুড়ি বা দানার আকারে যা ফুলে ওঠে।
তবে একেবারেই যে কিছু করার নেই এমনটাও নয়, খুবই সহজে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই ধরনের এই অস্বস্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। রইল সেই দাওয়াই।
এক মুঠো নিমপাতা গুঁড়ো করে পেস্ট করে লাগিয়ে নিন ওই ঘামাচির জায়গায়। মিনিট কুড়ি পরে ওই জায়গা ধুয়ে ফেলুন। দিন চারেকে ফল পাবেন। বেসনের সঙ্গে পরিমাণ মতো জল মিশিয়ে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি ঘামাচির স্থানে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা জলে দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ঘামাচির অব্যর্থ দাওয়াই। অ্যালোভেরা গাছের পাতার রস চিপে ঘামাচিতে লাগাতে পারেন। অথবা বাজারে এখন বিশুদ্ধ অ্যালোভেরা জেল পাওয়া যায়। সেগুলিও স্নান করে লাগাতে পারেন। কাবলি ছোলা মিক্সিতে শুকনো গ্রাইন্ড করে নিন। তার পর জলে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ১৫ মিনিট ঘামাচির অংশগুলিতে লাগিয়ে রেগে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। চার চামচ মূলতানি মাটির সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ঘামাচির অংশে লাগিয়ে রাখুন। ৩ ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলুন।
No comments