গরমে তেল-চিটচিটে ঘাম ও বাতাসের ধুলাবালু মিশে চুলে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হতে পারে। সেই থেকে দেখা দেয় খুশকি, র্যাশ বা ফুসকুড়ি। এসবের ক্ষতিকর প্রভাবে চুল পড়তে থাকে। চুল হয়ে যায় নিষ্প্রাণ ও রুক্ষ।
মনে রাখবেন গরমে শুষ্ক চুল আরও শুষ্ক হয়ে পড়ে। তৈলাক্ত চুলে দেখা দেয় খুশকি। যারা নিয়মিত বাইরে বের হন, তাদের চুল স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারায় রোদে ঘোরাফেরার কারণে।
গরমের সময়টাতে চুল পরিচর্যার প্রথম ধাপ হলো পরিষ্কার রাখা। সপ্তাহে দুইবার, বড়জোর তিনবারের বেশি শ্যাম্পু করা ঠিক নয়। তবে মাথায় খুব ঘাম জমলে উপায় নেই। হালকা ক্ল্যারিফায়িং শ্যাম্পু তালুতে অল্প একটু ঘষে চুল ধুয়ে নিন। প্রতিবার চুলে কন্ডিশনার অবশ্যই লাগাবেন, তাতে স্ক্যাল্প আর চুল দুইটাই ভালো থাকবে।
প্রাকৃতিক ক্লিনজিং দিয়েও চুল পরিষ্কার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো উপাদান হলো রিঠা ও শিকাকাই। এতে চুল পরিষ্কার তো হয়ই, সঙ্গে খুশকি, উকুন, চুল পড়াও কমে যায়। সেই সঙ্গে গজায় নতুন চুলও।
চুল পরিষ্কার করার সঙ্গে সঙ্গে শুকিয়ে ফেলতে হবে। চুল ভেজা অবস্থায় বেঁধে রাখলে চুলের ক্ষতি তো হয়ই, চুলের গোড়ায় ঘামও জমতে থাকে। চুল ভালো করে শুকিয়ে আলগা করে বেঁধে রাখবেন। খুব টাইট করে বাঁধলে গোড়ায় চাপ পড়ার কারণে চুল দুর্বল হয়ে যায়। তাই শুধু জলে ভেজা চুল নয়, ঘামে ভেজা চুল যত দ্রুত সম্ভব শুকিয়ে ফেলতে হবে। এক্ষেত্রে ফ্যানের ঠাণ্ডা হাওয়া সবচেয়ে ভালো।
No comments