গাল ও চোখে নজর দিন: ডবল চিন ঢাকার সব থেকে ভাল উপায় মুখের অন্যান্য অংশ হাইলাইট করা। চোখে ডার্ক মেক আপ বা স্মোকি আইজ করলে সকলের নজর আগে চোখের দিকেই যাবে। সেই সঙ্গেই পোশাকের সঙ্গে ম্যাচ করে গালে বুলিয়ে নিন ব্লাশ অন। ত্বকের রঙের সঙ্গে মানানসই গোলাপি বা ব্রঞ্জ ব্লাশ অন চেহারায় ঝকঝকে ভাব আনবে। ডবল চিন অনেকটাই ম্যানেজ হয়ে যাবে।
চোয়ালের হাড় হাঅলাইট করুন:
এটাই কিন্তু সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। শুধু ডবল চিন নয়। মুখের আকৃতি পরিবর্তন করতেও দারণ উপযোগী এই মেক আপ ট্রিক। নিমেষে গোল মুখকে পানপাতার আকৃতি দিতে, বেশি লম্বা মুখকে ডিম্বাকৃতি দেখাতে এর জু়ড়ি মেলা ভার। একটু ব্রোঞ্জার ও পাউডার লাগিয়েই চোয়াল উন্নত করা যায়। তবে সব সময় ব্রাশ নীচ থেকে উপরের দিকে স্ট্রোকে টানবেন। উল্টো করলে কিন্তু পুরোটাই মাটি।
ঠোঁট:
চোখের মতোই ঠোঁটের মেক আপও কিন্তু সকলের নজর ঘুরিয়ে দিতে পারে। এখন দারুণ ফ্যাশনেবল লাল লিপস্টিক ও পাউট। তাই সুন্দর করে লাইন করুন যাতে ঠোঁটে একটা ফোলা ভাব আসে। এ বার ভরাট করে দিন লাল লিপস্টিকে। একদম সমান ভাবে মিশিয়ে নেবেন। আধ খাপচা লিপস্টিক কিন্তু মেক আপ ব্লান্ডার।
নেকলাইন:
যদি আপনার ঘা়ড় দেখতে ছোট লাগে তা হলে কিন্তু ডবল চিন আরও বেশি প্রকট দেখতে লাগবে। ডবল চিনের সমস্যা থাকলে তাই কলার বা বন্ধ গলা পোশাক এড়িয়ে চলুন। এমন পোশাক পরুন যাতে আপনার গলার অংশ পুরোটাই দেখা যায়। গলা লম্বা দেখালে ডবল চিন বোঝা যাবে না। কলারবোন বা ক্লিভেজ দেখানো পোশাক পরলেও কিন্তু ডবল চিন থেকে নজর ফেরানো যাবে। তবে খেয়াল রাখবেন গলার কাছে বা বুকের অংশে যেন লোম না থাকে।
লাইন আপ:
মেক আপ করার সময় মুখ, গলা, কলার বোন, বুকের খাঁজের ওপর নজর দিন। কপাল-নাকের টি জোন, চোয়ালের হাড়, কলার বোন, ক্লিভেজ মেক আপ লাগানোর আগে কনসিলার বা প্যানস্টিক দিয়ে লাইন করে দিন। এই সব খাঁজ প্রকট হলে আপনার চেহারা অনেক নিখুঁত লাগবে। সব শেষে ক্লিভেজ বা গলার অংশে হালকা ব্রোঞ্জার লাগিয়ে নিতে পারেন।
No comments