অনেকে শীতের মাসগুলিতে ত্বক পরিচর্যায় এক্সফোলিয়েশন করতে চান না কারণ এটি ত্বক আরও শুষ্ক করে দিতে পারে। কিন্তু আবহাওয়া উষ্ণ হওয়ার পর আর্দ্রতা বৃদ্ধি পেলেই ত্বকে তেলের অংশ বাড়তে থাকে। ফলে ময়লা জমে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন সমস্যা। এমন নিস্তেজ ত্বক এক্সফোলিয়েশনের মাধ্যমে উজ্জ্বল করে তোলার জন্য এই বসন্তই কিন্তু হল প্রধান সময়। তবে কলকাতার বসন্তেও প্রতি দিন এই প্রক্রিয়া ত্বকে প্রয়োগ করলে আবার হিতে বিপরীত হতে পারে।
শীতের সময়ে ভারী ক্রিম আমাদের ত্বককে সুরক্ষা দিয়েছে। কিন্তু উষ্ণ ঋতুতে ক্রিম বা ময়শ্চারাইজিং লোশন যা-ই আপনি ব্যবহার করবেন তা যেন হয় একটু হালকা। বিশেষ করে এ সবের মধ্য জলের ভাগ বেশি থাকলে প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করা সম্ভব হবে। মুখের সঙ্গে সারা শরীরেও ক্রিম লাগাতে ভুলবেন না।
যখন তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায়, তখন ত্বক হয়ে পড়ে অতিরিক্ত তৈলাক্ত
যখন তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায়, তখন ত্বক হয়ে পড়ে অতিরিক্ত তৈলাক্ত
ব্যবহার করুন নরম ফেসওয়াশ। এবং তা যেন অবশ্যই হয় রাসায়নিক বিহীন। ফেসওয়াশে যদি প্যারাবেন, সালফার, জিঙ্ক জাতীয় রাসায়নিক থাকে তবে অনেক সময় দ্রুত ময়লা পরিষ্কার হয় ঠিকই। কিন্তু এই বসন্তের আবহাওয়ায় এই ধরনের জিনিস ত্বকে লাগালে তা দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করে ফেলতে পারে। এখন আবহাওয়ায় যে উষ্ণতা তৈরি হয়েছে তার সঙ্গে মানিয়ে চলতে মাঝেমাঝে ত্বকে লাগান বরফ।
অনেকে আবার শীতকালে সানস্ক্রিন লাগান না। যদিও এটি করা উচিত নয়, তবে এই বসন্তে এবং গরমকালে কোনও মতেই সানস্ক্রিন না লাগিয়ে ঘরের বাইরে বার হবেন না। এমনকি, সন্ধেবেলাতেও সূর্যের আলো থেকে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই তা মনে করে সানস্ক্রিন না লাগিয়ে বেরিয়ে পড়বেন না। বিশেষজ্ঞদের মতেও পৃথিবী এই উষ্ণ মাসগুলিতে সূর্যের কাছাকাছি থাকে, তাই অতিবেগুনি রশ্মি এই সময়ে অত্যন্ত শক্তিশালী হয়। ফলে ত্বক বাঁচাতে অন্তত ৩০ এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ত্বকে নিয়মিত লাগান এখন থেকে।
No comments