বলা হয় রান্নাঘর সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। কিন্তু কিছু জিনিস উপেক্ষা করলে ঘরে নেতিবাচক শক্তি বাড়তে থাকে। বাস্তু মতে কিছু জিনিস রান্নাঘরে রাখা উচিৎ নয়।
রান্নাঘর বাড়ির একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এটা বিশ্বাস করা হয় যে রান্নাঘরে দেবী লক্ষ্মী এবং অন্নপূর্ণা বাস করেন। তাই বলা হয় রান্নাঘর সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। কিন্তু কিছু জিনিস উপেক্ষা করলে ঘরে নেতিবাচক শক্তি ছড়াতে শুরু করে। যা পরিবারের সকল সদস্যকে প্রভাবিত করে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে কিছু জিনিস রান্নাঘরে রাখা উচিৎ নয়, কারণ এতে সমস্যা হয়। এমন পরিস্থিতিতে রান্নাঘরে কোন জিনিসপত্র রাখা উচিৎ নয় তা আমরা জানি।
আয়না
ঘরকে সুন্দর করতে কেউ কেউ রান্নাঘরে আয়নাও লাগিয়ে দেন। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে রান্নাঘরে আয়না ব্যবহার করা উচিৎ নয়। আসলে, রান্নাঘরের চুলা হল অগ্নি দেবতার সূচক। আয়নায় আগুনের প্রতিফলন দেখা গেলে ঘরে অশুভতা আসতে পারে। তার বাড়িতে পারস্পরিক কলহ বিরাজ করছে। এছাড়া বাড়ির আর্থিক অবস্থাও খারাপ হতে থাকে।
অবশিষ্ট আটা
প্রায়শই মহিলারা রান্নাঘরে রুটি রান্না করার পরে অবশিষ্ট আটা ফ্রিজে রাখেন এবং সকালে আবার ব্যবহার করেন। এটি বাস্তু অনুসারে সঠিক নয়। রান্নাঘরে ময়দা মাখালে শনি ও রাহুর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যার কারণে জীবনে আসে নানা ধরনের সমস্যা।
ওষুধ
রান্নাঘরে কাজ করতে গিয়ে আঘাত পাওয়া বা আঘাত পাওয়া সাধারণ ব্যাপার। এ জন্য রান্নাঘরে ওষুধ বা ব্যান্ডেজ ইত্যাদি রাখা হয়, যাতে প্রয়োজনের সময় কাজে লাগে। কিন্তু বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে রান্নাঘরে কোনও ওষুধ রাখা উচিত নয়। কারণ এটি স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে অপ্রয়োজনীয় খরচ।
ভাঙা পাত্র
রান্নাঘরে অনেক ধরনের পাত্র ব্যবহার করা হয়। কিছু পাত্র অনেক ব্যবহার করার পর ভেঙে যায়। তবে কখনও কখনও কিছুটা ভাঙা বাসনও ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বাস্তু মতে এটা ভালো নয়। রান্নাঘরে ভাঙা বাসন ব্যবহার করার কারণে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মতভেদ বাড়তে থাকে।
No comments