Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

আঁচিল সম্পর্কিত খুঁটিনাটি

আঁচিল কয় প্রকার ও কী কী?

ত্বকের উপর হঠাৎ গজিয়ে ওঠা আকারে ছোট এক ধরনের মাংসল বৃদ্ধিকে আঁচিল বলা চলে। কিন্তু সবক্ষেত্রে কি সে ভাবেই উৎপত্তি হয় আঁচিলের? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
আঁচিল সাধারণত চার প্রকার। প্রথম ধরনের আঁচিলকে বলা হয় অ্যাক্র…



আঁচিল কয় প্রকার ও কী কী?



ত্বকের উপর হঠাৎ গজিয়ে ওঠা আকারে ছোট এক ধরনের মাংসল বৃদ্ধিকে আঁচিল বলা চলে। কিন্তু সবক্ষেত্রে কি সে ভাবেই উৎপত্তি হয় আঁচিলের? আসুন জেনে নেওয়া যাক।


আঁচিল সাধারণত চার প্রকার। প্রথম ধরনের আঁচিলকে বলা হয় অ্যাক্রোকর্ডন বা স্কিন ট্যাগ। দ্বিতীয় ধরনের নাম ভেরুকা বা ওয়ার্টস। তৃতীয় ধরনের আঁচিলকে বলা হয় মোল। এ ছাড়া জন্মগত আঁচিলও থাকে অনেকের। চতুর্থ ধরনটিকে বলা হয় সেবোরিক কেরাটোসিস।


অ্যাক্রোকর্ডন বা স্কিন ট্যাগ:


ঘর্ষণের ফলে মূলত এই আঁচিলের সৃষ্টি। পোশাক বা শক্ত কলারে ত্বক ক্রমাগত ঘষা খেয়ে ত্বকের ছোট একটি অংশ ফুলতে শুরু করে। ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয়, ঘর্ষণের ফলে স্থূল বা মাত্রাতিরিক্ত পাতলা হয়ে যাওয়া ত্বকের এপিডার্মিস স্তরের চারপাশে কোলাজেন প্রোটিন ফাইবার ও রক্তবাহগুলি আলগা ভাবে সজ্জিত হয়ে আঁচিলের সৃষ্টি করে। সোজা বাংলায় ঘর্ষণের জন্য ত্বকের কোষ শিথিল হয়ে প্রসারিত হলে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়।


এই রকমের আঁচিল তিন ধরনের হয়।


ছোট আকারের স্কিন ট্যাগ: ঘাড়ে ও বাহুমূলে এই ধরনের আঁচিল দেখা যায়। আকারে সাধারণত ১ থেকে ২ মিলিমিটার হয়।


মাঝারি আকারের স্কিন ট্যাগ: দেহের বিভিন্ন অংশেই এই আঁচিল গজিয়ে উঠতে পারে। আকারে ৫ মিলিমিটার থেকে ২ মিলিমিটারের মধ্যে হয়।


বড় আকারের স্কিন ট্যাগ: এই আঁচিলগুলোই পেডাঙ্কল নামক সরু অংশের সাহায্যে ত্বকে লেগে থাকে। মূলত দেহের নীচের অংশে এগুলি দেখা যায়। আকারে কয়েক সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে।


স্কিন ট্যাগ এমনিতে সে রকম ক্ষতিকারক না হলে পোশাকের ঘর্ষণে অনেক সময়ই সেগুলি থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে।


ভেরুকা বা ওয়ার্ট:


হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের আক্রমণের ফলে এই ধরনের আঁচিল দেখা যায়। ভেরুকা বা ওয়ার্টের ক্ষেত্রে সবচেয়ে আগে যে বিষয় মাথায় রাখতে হবে তা হল, এটি ছোঁয়াচে। তাই হঠাৎ করে যদি আপনি দেখেন আপনার হাত, পা, কোনও কোনও ক্ষেত্রে মুখে ওয়ার্টের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। তা হলে বুঝবেন, অন্য কারও মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন আপনি। অনেক সময় জুতো থেকেও ওয়ার্ট হতে পারে। ওয়ার্ট মূলত চার প্রকার:


সাধারণ ওয়ার্ট: সাধারণত হাতে বা আঙুলে হয়।


প্ল্যান্টার ওয়ার্ট: পায়ের পাতা ও পায়ের নীচে হয়ে থাকে।


জেনিটাল ওয়ার্ট: এটি এক ধরনের যৌনরোগ। অসুরক্ষিত যৌনতা থেকে এই আঁচিলের উৎপত্তি।


ফ্ল্যাট ওয়ার্ট: শরীরে যে অংশে নিয়মিত শেভ করা হয়, সেখানে এই আঁচিল দেখা যায়। সাধারণত মুখে, কপালে, গালে এই আঁচিল গজিয়ে উঠতে পারে।

No comments