ডিম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি প্রোটিন সমৃদ্ধ। এ কারণেই অনেক জিমে যান ডিম খেতে পছন্দ করেন। নিয়মিত ডিম খেলে হাড় ও মাংসপেশি ভালোভাবে তৈরি হয়। এ ছাড়া ডিম সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। ডিম থেকে প্রাপ্ত প্রোটিন আপনার শরীরের জন্য বিভিন্ন উপায়ে উপকারী হতে পারে। কিন্তু আপনি কি জানেন একটি ডিমে কতটা প্রোটিন থাকে? যদি তা না হয়, তাহলে আজ এই প্রবন্ধে আমরা বলব বিভিন্ন জাতের ডিম থেকে আপনার শরীর কতটা প্রোটিন পায়। আসুন বিস্তারিত জেনে নেই ডিম থেকে কতটা প্রোটিন পাওয়া যায়?
বিভিন্ন জাতের ডিমে প্রোটিনের পরিমান (সেদ্ধ, কাঁচা, ডিমের সাদা, ডিমের কুসুম, ওমেলেট, ভাজা ডিমে কত প্রোটিন)
সেদ্ধ ডিমের প্রোটিনে 13 গ্রাম প্রোটিন থাকে।
কাঁচা ডিমের প্রোটিনে 100 গ্রামে প্রায় 10.8 গ্রাম প্রোটিন থাকতে পারে।
100 গ্রাম সাদা ডিমে প্রায় 11 গ্রাম প্রোটিন থাকতে পারে।
100 গ্রাম ডিমের কুসুমে প্রায় 16 গ্রাম প্রোটিন থাকে।
যদি 100 গ্রাম ডিম থেকে অমলেট তৈরি করা হয়, তাহলে আপনার শরীর এটি থেকে প্রায় 11 গ্রাম প্রোটিন পেতে পারে।
আপনার শরীর 100 গ্রাম ভাজা ডিম থেকে প্রায় 6.7 গ্রাম প্রোটিন পেতে পারে।
ডিমে পাওয়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিগুণ
ডিম প্রোটিনের প্রধান উৎস। এ ছাড়া ডিমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান থাকে, যা ডিমকে অন্য খাবার থেকে আলাদা করে তোলে। আসুন জেনে নেই সেই পুষ্টিগুণ সম্পর্কে-
ফোলেট - RDA এর 5%
ভিটামিন বি 5 - RDA এর 7%
ভিটামিন B12 - RDA এর 9%
ভিটামিন B2 - RDA এর ১৫%
ফসফরাস - RDA এর 9%
সেলেনিয়াম - RDA এর 22%
কাঁচা ডিম কি বেশি প্রোটিন সরবরাহ করে?
ডিমে প্রচুর পরিমাণে উচ্চমানের প্রোটিন পাওয়া যায়। এছাড়াও এতে অ্যামিনো অ্যাসিড পাওয়া যায়। যাইহোক, আপনার শরীর কী পরিমাণ প্রোটিন পাবে তা নির্ভর করে আপনি কীভাবে ডিম প্রস্তুত করেছেন তার উপর।
গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের শরীর কাঁচা ডিমের চেয়ে রান্না করা ডিম থেকে বেশি প্রোটিন শোষণ করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে আমাদের শরীর কাঁচা ডিম থেকে মাত্র 50% প্রোটিন শোষণ করে। একই সময়ে, আমাদের শরীর রান্না করা ডিম থেকে 90% প্রোটিন শোষণ করতে পারে।
এর মানে হল যে আপনার শরীর একটি কাঁচা ডিমের চেয়ে রান্না করা বা সিদ্ধ ডিম থেকে বেশি প্রোটিন পেতে পারে। এর পাশাপাশি ডিম সেদ্ধ করে খেলে এতে উপস্থিত ইনফেকশন ও টক্সিন নষ্ট হয়ে যায়। তবে খেয়াল রাখবেন ডিম যেন বেশি ভাজা না হয়। এতে ডিমে উপস্থিত পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সব সময় ডিম সেদ্ধ করে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
কাঁচা ডিমের প্রোটিনের চেয়ে শরীর রান্না করা ডিমের প্রোটিন ভালোভাবে শোষণ করতে পারে।
ডিমের অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা
ডিম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে ক্যালরি কম, যা আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর।
আপনার শরীর ডিম থেকে কোলিন পায়। কোলিন শরীরের অনেক প্রক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর ঘাটতি মস্তিষ্ক এবং হার্টের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। শুধু তাই নয়, কোলিনের ঘাটতি গর্ভাবস্থায় নিউরাল টিউব ডিফেক্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
এ ছাড়া ডিম খেলে তৃপ্তির অনুভূতি বাড়ে, যার কারণে বারবার খেতে ইচ্ছে করে না। এমন পরিস্থিতিতে, ডিম আপনার প্রাতঃরাশের জন্য একটি ভাল বিকল্প হতে পারে। আপনি একটি প্রাতঃরাশ হিসাবে নিয়মিত ডিম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
No comments