কোল্ড ক্রিম এর উপকারিতা
বিনোদন ডেস্ক, ১৯ এপ্রিল : শীতে আর্দ্রতার অভাবের কারণে ত্বক হয়ে ওঠে খুব শুষ্ক, শুষ্ক ও প্রাণহীন। এমন পরিস্থিতিতে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করা খুবই জরুরি। এ জন্য নারী-পুরুষ সবাই কোল্ড ক্রিম ব্যবহার করেন। কোল্ড ক্রিম ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। বেশিরভাগ মানুষ বাজারে পাওয়া রাসায়নিকযুক্ত কোল্ড ক্রিম ব্যবহার করে, তবে কিছু লোক এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আপনি চাইলে ঘরেই তৈরি করতে পারেন প্রাকৃতিক কোল্ড ক্রিম।
কোল্ড ক্রিম লাগালে ত্বক নরম, চকচকে ও উজ্জ্বল থাকে।
শীতেও ঠোঁট ফাটে। এক্ষেত্রে কোল্ড ক্রিম লাগালে উপকার পাওয়া যায়। অর্থাৎ কোল্ড ক্রিম লিপবাম হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
শীতে মুখের পাশাপাশি কনুই ও হাঁটুও শুষ্ক হয়ে যায়। কোল্ড ক্রিম শুষ্কতা, কনুই ও হাঁটুর কালো ভাব দূর করতেও উপকারী। এতে আপনার কনুই ও হাঁটু নরম হবে।
কোল্ড ক্রিম পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদের জন্যও উপকারী। পুরুষরা এটি শেভিং ক্রিম হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।
শীতকালে হিল ফাটা সমস্যা খুবই সাধারণ। ফাটা গোড়ালি সারাতে কোল্ড ক্রিম লাগাতে পারেন। এতে আপনার গোড়ালিতে আর্দ্রতা আসবে, হিল নরম হয়ে যাবে।
মেকআপ রিমুভার হিসেবেও কোল্ড ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।
কোল্ড ক্রিম
আপনি যদি বাজারে পাওয়া কোল্ড ক্রিম ব্যবহার করতে না চান, তাহলে আপনি সহজেই বাড়িতে এটি তৈরি করতে পারেন। এর জন্য আপনার প্রয়োজন শিয়া বাটার, ভিটামিন ই ক্যাপসুল, নারকেল তেল, বাদাম তেল এবং এসেনশিয়াল অয়েল।
কোল্ড ক্রিম তৈরি করতে প্রথমে একটি বড় পাত্র নিন।
এটি জল দিয়ে পূরণ করুন এবং এটি রাখুন। এর পর একটি বাটি নিন, যা সহজেই এই প্যানের ভিতরে আসতে পারে।
তারপর বাটিতে বাদাম তেল, নারকেল তেল, শিয়া মাখন যোগ করুন।
এই সব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিন।
এবার এই বাটিটিকে প্যানে রাখুন এবং সমস্ত উপকরণগুলিকে কম আঁচে গলে যেতে দিন।
এর পরে, বাটিটি বের করে ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি কেটে নিন এবং কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল যোগ করুন।
এর পরে আপনার কোল্ড ক্রিম প্রস্তুত। আপনি এটি সংরক্ষণ এবং রাখতে পারেন।
প্রতি রাতে এই কোল্ড ক্রিম লাগালে সারা শীত জুড়ে ত্বক নরম থাকে।
দীর্ঘ সময় ধরে এই ক্রিম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এটি প্রাকৃতিক, দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করলে এটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
এই কোল্ড ক্রিম ত্বকে পুষ্টি জোগায়। বাদাম তেল, নারকেল তেল ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং ত্বককে ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে।
বাদাম তেলে ভিটামিন এ পাওয়া যায়, যা ত্বকের জন্য উপকারী।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে, ত্বকের দাগ দূর করে।
আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী কোল্ড ক্রিম লাগাতে হবে।
কোল্ড ক্রিম লাগানোর সঠিক সময়
যাইহোক, কোল্ড ক্রিম সকাল, সন্ধ্যা বা রাতে যেকোনো সময় ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু দিনের বেলা কোল্ড ক্রিম লাগালে ত্বক খুব তৈলাক্ত হয়ে যায়। এ কারণে ধুলো-ময়লা সহজেই ত্বকে লেগে যায়। তাই কোল্ড ক্রিম লাগানোর সঠিক সময় রাত। রাতে কোল্ড ক্রিম নাইট রুটিনে লাগালে পরের দিন মুখ খুব নরম বা কোমল হয়ে ওঠে। এটি হাত নরম করার একটি ভাল উপায়।
শীতে অবশ্যই কোল্ড ক্রিম লাগাতে হবে। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে, ত্বককে নরম ও উজ্জ্বল করে। কোল্ড ক্রিম লাগালে ত্বক উজ্জ্বল হয়। তবে যেকোনো কোল্ড ক্রিম লাগানোর আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
No comments