বাংলায় বসেই বালাজি মন্দির দর্শন! দুর্গা পুজোয় চমক ধুলিয়ান টাউন ক্লাবের
মুর্শিদাবাদ: বাঙালির বড় উৎসব দুর্গা পূজা যা নিয়ে মেতেছে আট থেকে আশি সকলেই। শহর থেকে জেলায় ইতিমধ্যেই পুজো দেখতে ভিড় উপচে পড়ছে দর্শনার্থীদের। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান ছোট্ট শহর হলেও বড় থেকে ছোট মাপের দুর্গা পূজার আয়োজন থাকে সংখ্যায় প্রায় পঞ্চাশ। আর পুরো সামশেরগঞ্জ ব্লকে প্রায় ১২২টি। আর দুর্গা পূজায় সাবকিয়ানার পাশাপাশি এখন থিমের নানা রকম চমক তো রয়েইছে। শতাব্দী প্রাচীন ধুলিয়ান পৌরসভার সামনে ধুলিয়ান টাউন ক্লাব প্রতি বছর থিম পূজা করে আসে, কখনও নবদুর্গা, কখনও বারো মাসে তেরো পার্বণ, আবার কখনও পাহাড়ের গুহার মধ্যে জমিদারি দুর্গা পূজা ইত্যাদি।
এবার তাদের পুজোর ২৮ তম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে তিরুপতি বালাজি মন্দিরের আদলে সাজানো হচ্ছে মণ্ডপ। ক্লাবের সেক্রেটারি উজ্জ্বল কর্মকার বলেন, "ধুলিয়ান তথা আসে পাশের দর্শনার্থীদের বছর ভর প্রতীক্ষা থাকে ধুলিয়ান টাউন ক্লাব এবার কি চমক দেবে, আর তাদের কথা ভেবেই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াশ। তাদের চাহিদায় আমাদের মনবল দ্বিগুন হয়ে যায় ও অনুপ্রেরণা জোগায় এবং চেষ্টা থাকে আমাদের একশো শতাংশ দেওয়ার। তবে সাধারণ মধ্যবিত্তের কথা ভেবেই আমাদের পরিকল্পনা ঠিক 'দুধের সাধ, ঘোলে মেটানো' যাদের তিরুপতি বালাজি যাওযা সম্ভব নয়, তারা কিছুটা আঁচ করতে পারবে বালাজি'কে।"
ক্লাবের সভাপতি শ্রবণ প্রামানিকের কথায়, "আমাদের ক্লাবের পূজা হলেও এখন তা সার্বজনীন হয়ে গেছে কারণ আমাদের আশে পাশের বহু মানুষ এবং মহিলারা সকলেই এই মণ্ডপে পরিশ্রম করেন, তা অভাবনীয়। সকলের ধর্মের মানুষের আন্তরিকতা দেখে আপনি স্যতিই অবাক হবেন। পুজোর পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া, বিজয়ার সিঁদুর খেলা এবং একাদশীতে পাড়ার ক্ষুদেদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বহিরাগত শিল্পী সমন্বয়ে গানের আসর সব নিয়ে মেতে থাকেন বড় থেকে কচিকাঁচা সকলেই। আর এই দিনগুলির অপেক্ষায় থাকি আমরা সবাই।"
সব নিয়ে জমজমাট ধুলিয়ান টাউন ক্লাবের শারদ উৎসব। ভিড় এড়াতে দর্শনার্থীরা পঞ্চমী থেকেই শুরু করেন প্রতিমা দর্শন। তাদের পুজোয় হিন্দু, মুসলিম, জৈন সমস্ত ধর্মের মানুষ পাশে থাকে, যা সমাজে একটি সম্প্রীতির বার্তা বহন করে ধুলিয়ান টাউন ক্লাব।
No comments