বাদাম চাষে লাভের মুখ দেখছেন চাষীরা
হুগলি: ধান চাষ ও আলু চাষের পরে তৃতীয় উৎপাদনকারি ফসল বাদাম চাষে লাভের মুখ দেখছে চাষীরা। এই চাষের ওপর জোর দিচ্ছেন চাষীরা। আলু চাষের পরেই গোটা এলাকা জুড়ে চাষীদের দেখা যায় বাদাম চাষ করতে। আরামবাগ মহকুমার বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে দেখা যায় এই বাদাম চাষ।
আরামবাগ মহকুমা কৃষি প্রধান এলাকা। আলু চাষের পরেই অন্যান্য চাষের পরিবর্তে চাষীরা লাভের মুখ দেখছে বাদাম চাষে। চৈত্র মাস থেকে জৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত এই চাষ করা হয়। গোঘাটের বালি দেওয়ানগঞ্জ,পুরশুরা, খানাকুল এলাকা বন্যা কবলিত এলাকা। চাষীরা বন্যার কারণে জমিতে চাষ করলেও ফসল অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়।
তাই এবার বাদাম চাষ করছে চাষীরা। বিঘার পর বিঘা জমিতে বাদাম লাগিয়ে ব্যাপক লাভের মুখ দেখছে তারা।
চাষীরা জানান, গোঘাটের বালি দেওয়ানগঞ্জ সহ খানাকুল, পুরশুরা অনেকটাই নিচু এলাকা। বন্যার সময় কিছু এলাকা অনেকটাই জলে ডুবে থাকে, যার ফলে আলু চাষের পরে ধান ও তিল চাষ সেই পরিমাণে হয় না।পাশাপাশি বালি দেওয়ানগঞ্জ, পুড়শুড়া, খানাকুলের বিস্তীর্ণ এলাকা বালি মাটি। এই বালি মাটিতে বাদাম চাষ ভালো হয়, এমনটাই জানাচ্ছে চাষীরা।
বিগত কয়েক বছর ধরে আরামবাগ মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চাষ করা হয় বাদাম চাষ। ধান চাষ, আলু চাষের পর অন্য চাষের পরিবর্তে বাদাম চাষ করে লাভের মুখ দেখছে চাষীরা।
চাষীরা জানান, আস্তে আস্তে বাদামের চাহিদা বাড়ছে বাজারে। কম খরচে বেশি লাভ পাচ্ছেন তারা বাদাম চাষে।পাশাপাশি বাদাম থেকে তেল উৎপাদন করে বাজারে বিক্রি হয়। মূলত বৃষ্টির জলের সমস্যার কারণে এখন বাদাম চাষের ওপর নির্ভর করছে চাষীরা। তিন মাস পর বাদাম চাষের ফল পাওয়া যায়। পাশাপাশি বাদাম একদিকে বাড়িতে খাবার কাজে লাগে এবং বাজারে বিক্রি করাও হয়।
No comments