গঙ্গা-কোশির ভয়াবহ রূপ ভূতনিতে, প্লাবনের আশঙ্কা বিস্তীর্ণ এলাকায়
মালদা: ভাঙন যেন থামছে না কোনও ভাবেই। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বারবার আবেদন করলেও কোনও সাড়া নেই বলেই অভিযোগ। মালদা জেলার মানিকচক ব্লকের ভূতনি থানার অন্তর্গত কাল্টনটোলা ও কেশবপুর এলাকায় গঙ্গা নদী ও কোশি নদীর ভয়াবহ রূপ, যেকোনও সময় প্লাবিত হতে পারে ভূতনির অসংখ্য গ্রাম, আশঙ্কা স্থানীয়দের। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি এলাকা পরিদর্শন করলেন মানিকচকের বিধায়িকা সাবিত্রী মিত্র, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীণ আবুবক্কার, সদর মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামাং সহ পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিক ও সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে রিং বাঁধ তৈরীর যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করল জেলা প্রশাসন।
উল্লেখ্য, বিগত কিছুদিন ধরেই গঙ্গা নদী ও কোশি নদীতে জল বাড়ার পর থেকেই ভূতনির কেশবপুর ও কাল্টন টোলা এলাকা জুড়ে ব্যাপক নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই মূল বাঁধের বেশ কিছু অংশ নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে। বর্তমানে নদী থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে রয়েছে গ্রাম, যে কোনও মুহূর্তে নদীর জল বাড়লেই প্লাবিত হতে পারে ভূতনি থানার অন্তর্গত তিনটি অঞ্চল। বৃহস্পতিবার রাতে নদী তীরবর্তী এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা ও প্রশাসনের তরফে বালির বস্তা দিয়ে কোনও রকম ভাবে নদীর জল থামিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবী, এইভাবে চলতে থাকলে যে কোন সময় বন্যাভাসি হবে গোটা ভূতনি। প্রায় এক লক্ষ মানুষ এই বন্যায় ও ভাঙনে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন। কেশবপুর ও কাল্টন টোলার ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে তড়িঘড়ি রিং বাঁধ তৈরি করার নির্দেশ দেন মানিকচক বিধানসভার বিধায়িকা সাবিত্রী মিত্র এবং সদর মহুকমা শাসক। পাশাপাশি তিনি সাধারণ মানুষের কাছে হাতজোড় করে আর্জি করেন, এই বাঁধ তৈরি করতে সমস্ত রকম সহযোগিতা করার। অন্যদিকে তিনি কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
No comments