নয়াদিল্লি: দিল্লীর বায়ুর মান ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। মানুষের পক্ষে বিষাক্ত বায়ুতে শ্বাস নেওয়াও কঠিন হয়ে পড়ছে। দীপাবলির আগেই রাজধানীতে দূষণের দাপট শুরু হয়েছে। এমতাবস্থায় আগামী দিনে কী হবে তা ভেবে চিন্তিত মানুষ। এদিকে দিল্লী সরকারের দাবী, দিল্লীর দূষণের মূল কারণ হল বিজেপির নোংরা রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী অতীশী বলেন, বিজেপির নোংরা রাজনীতির কারণে দিল্লীর বায়ু ও জলে দূষণ বাড়ছে। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, আনন্দ বিহারে দূষণ বৃদ্ধির প্রধান কারণ হল উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা বাস। উল্লেখ্য, আজ (রবিবার) দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অতীশী এবং পরিবেশমন্ত্রী আনন্দ বিহার এলাকায় গিয়েছিলেন দূষণ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। এদিন সকাল ৮.৩০ টায় বায়ুর মানের সূচক ৪৫৪- এ রেকর্ড করা হয়েছে।
এই সময় মুখ্যমন্ত্রী অতীশী বলেন, 'আনন্দ বিহার এলাকায় বায়ুর মান খারাপ হওয়ার প্রধান কারণ হল উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা বাসগুলো এবং এই বিষয়ে ইউপি সরকারের সাথে আলোচনা করা দরকার। একইসঙ্গে গোপাল রাইও এর ওপর জোর দিয়ে দাবী করেন, এই বাসগুলির ধোঁয়া দিল্লীর দূষণকে দ্বিগুণ করছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণে গৃহীত পদক্ষেপের বর্ণনা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'দূষণ বিরোধী ব্যবস্থা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে এবং ধুলো নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার জন্য দল গঠন করা হয়েছে।'
মুখ্যমন্ত্রী অতীশী বলেন, 'আমরা ৯৯ টি দল গঠন করেছি, যারা দিল্লী জুড়ে ধুলো নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরা ৩২৫টিরও বেশি স্মোগগান মোতায়েন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। দিল্লীতে দূষণ মোকাবেলায় পিডব্লুউডি (PWD) এবং এমসিডি (MCD) তাদের সমস্ত সংস্থান স্থাপন করেছে। দিল্লী এবং ইউপির সীমান্তে অবস্থিত হওয়ার কারণে, আনন্দ বিহার এমন একটি হটস্পট যেখানে এআইকিউ (AQI/Air Quality Index) সর্বোচ্চ।
এছাড়াও তিনি যমুনা নদীর বিষাক্ত সাদা ফেনা নিয়েও কথা বলেন এবং বিজেপিকে তীব্র নিশানা করেছেন। অতীশী বলেন, 'শুধু বায়ু দূষণ নয়, যমুনা নদীতেও গত কয়েকদিনে দূষণ বাড়ছে এবং এর মূল কারণ বিজেপির নোংরা রাজনীতি।' তিনি বলেন, 'পাঞ্জাবের আপ সরকার খড় পোড়ানোর ঘটনা কমাতে দুই বছর ধরে অনেক প্রচেষ্টা করেছে। গত বছর, পাঞ্জাবে খড় পোড়ানোর পরিমাণ অর্ধেক ছিল। অন্যদিকে, আমরা যদি হরিয়ানার পরিসংখ্যান দেখি, সেখানে ক্ষেতে আগুন লাগার ঘটনা ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তরপ্রদেশে ক্ষেতে আগুন লাগার ঘটনা ৭০ শতাংশ বেড়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'সর্বোচ্চ এআইকিউ রেকর্ড করা আনন্দ বিহারের বাসগুলোর দিকে যদি তাকাই, তাহলে দিল্লীর সমস্ত বাস সিএনজি বা বিদ্যুতে চলে। কিন্তু আমরা যদি ইউপি ও হরিয়ানা থেকে আসা বাসগুলোর দিকে তাকাই, সেগুলো ডিজেলে চলে। আনন্দ বিহার এলাকায় দূষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল ইউপি থেকে আসা হাজার হাজার ডিজেল চালিত বাস। একদিকে দিল্লী সরকার সিএনজি বাসের লাইন লাগিয়ে দিয়েছে, অন্যদিকে হরিয়ানা ও ইউপি সরকার কেন তাদের বহরে সিএনজি এবং ইলেকট্রিক বাস আনতে পারছে না? কারণ তারা নোংরা রাজনীতি করছে।'
No comments