শীতের মরসুমে সর্দি-কাশি দেখা দেয়।কিন্তু দীর্ঘদিন কাশি ও সর্দি থাকার পর গলা ভারী হতে থাকে,যার কারণে কণ্ঠস্বরও ভারী হয়ে যায়।এটি নিরাময়ের জন্য অনেক ওষুধ রয়েছে,তবে এটি ঘরোয়া প্রতিকার দিয়েও নিরাময় করা যেতে পারে।
শীতের মরসুমে সর্দি-কাশি খুবই স্বাভাবিক।কিন্তু কখনও কখনও কাশি এবং সর্দির পরে আমাদের কণ্ঠস্বর ভারী বা কর্কশ হয়ে যায়।বিশেষ করে গলা ফুলে যাওয়া।কাশির কারণে অতিরিক্ত চাপ বা গলার পেশিতে অতিরিক্ত চাপের কারণে এই সমস্যা হয়।অনেক সময় এই সমস্যা এতটাই বেড়ে যায় যে এর প্রভাব গলায় দেখা যায়।কাশি এবং সর্দির পরে,মানুষের কণ্ঠস্বর প্রায়শই ভারী হয়ে যায়,যা কেবল কথা বলতে অসুবিধা করে না,আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্মকেও প্রভাবিত করতে পারে।
ওষুধ গ্রহণ করা একটি বিকল্প হতে পারে।তবে কখনও কখনও ঘরোয়া প্রতিকারগুলি দ্রুত এবং কার্যকরভাবে এই সমস্যাগুলি নিরাময় করতে পারে।ভারী কণ্ঠস্বরের প্রধান কারণ হতে পারে গলায় ফোলাভাব,কাশির সময় গলায় অতিরিক্ত চাপ বা ভাইরাসের প্রভাব।এই সমস্যাটি গুরুতর নাও হতে পারে,তবে এটি অবশ্যই অসুবিধার কারণ হয়।এই পরিস্থিতিতে,ঘরোয়া প্রতিকার হল সবচেয়ে সহজ এবং নিরাপদ বিকল্প।
ঘরোয়া প্রতিকারগুলি কেবল গলা ফোলা এবং কর্কশ কণ্ঠস্বর নিরাময়ে সহায়তা করে না,এগুলি কোনও পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ছাড়াই স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।যদি আপনার কণ্ঠস্বর ভারী হয়ে যায় এবং আপনি এটি দ্রুত ঠিক করতে চান,তাহলে আপনাকে এই ব্যবস্থাগুলি গ্রহণ করতে হবে।
হালকা গরম জল দিয়ে গার্গল করুন -
এক গ্লাস হালকা গরম জলে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার গার্গল করুন।এটি গলার ফোলাভাব কমায় এবং গলা পরিষ্কার রাখে।যখনই আপনার গলা ভারী হবে তখন হালকা গরম জল দিয়ে গার্গলিং করা সবচেয়ে উপকারী।
আদা-মধু খান -
তাজা আদার রস বের করে তাতে মধু মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার খান।আদার প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে,যা গলা ফোলা এবং কর্কশ স্বর নিরাময়ে সাহায্য করে।
হলুদ-দুধ পান করুন -
এক গ্লাস গরম দুধে আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে পান করুন।হলুদে উপস্থিত অ্যান্টি-সেপটিক এবং নিরাময় গুণাবলী গলার সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।হলুদ-দুধ গলা পরিষ্কার করতে এবং কণ্ঠস্বর উন্নত করতে সাহায্য করে।
স্টীম থেরাপি -
গরম জলে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে ৫-১০ মিনিট ভাপ নিন।বাষ্প গলার প্রদাহ কমায় এবং আটকে থাকা গলা খুলতে সাহায্য করে।
তুলসী চা পান করুন -
৮-১০টি তুলসী পাতা জলে ফুটিয়ে তাতে মধু ও লেবু মিশিয়ে চায়ের মতো পান করুন।তুলসী গলার ফোলাভাব কমাতে এবং কর্কশ স্বর নিরাময়ে সহায়ক।তুলসী চা শীতকালে আরও অনেক কিছুর জন্যও উপকারী।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।
No comments