ফোন করে বারাসতে ডেকে দত্তপুকুর থানার ছোটজাগুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনগাছি এলাকার বাসিন্দা অমিতাভ বসু নামের এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার তিন। সোমবার রাতে নদীয়া থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করল দত্তপুকুর থানার পুলিশ।পাশাপাশি অপহৃত ব্যক্তিকেও উদ্ধার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে,ধৃতরা হল,গোবিন্দ রায়,শান্তনু দে এবং শমিক দাশগুপ্ত।মঙ্গলবার ধৃতদের বারাসত আদালতে তোলা হলে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ধৃতদের জেরা করে অপহরণ কাণ্ডে আর কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ।
পুলিশ এবং পরিবার সূত্রে জানা গেছে,একটি বেসরকারি অর্থলগ্নী সংস্থায় কাজ করতেন বারাসত এক নম্বর ব্লকের বামনগাছি এলাকার বাসিন্দা অমিতাভ বসু।আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই বেশ কিছুদিন ধরেই অমিতাভর সঙ্গে বিবাদ চলছিল তাঁরই কয়েকজন সহকর্মীর।
শনিবার রাতে এক সহকর্মী অমিতাভকে ফোন করে বারাসতের চাপাডালি মোড়ে দেখা করতে বলে। রবিবার দুপুরে বারাসত চাপাডালি মোড়ের নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে যান অমিতাভ বসু।অভিযোগ,চাপাডালি মোড় থেকেই একপ্রকার জোর করে একটি গাড়িতে অমিতাভকে তুলে চম্পট দেয় কয়েকজন।ওই গাড়িতে অমিতাভ বসুর এক মহিলা সহকর্মীও ছিলেন। অভিযোগ,অমিতাভকে মারধর করা হয়।পাশাপাশি একটি কাগজে সই করিয়েও নেওয়া হয়।
উদ্ধারের পর অমিতাভ বসু পুলিশকে জানিয়েছেন," অপহরণ করোর পর পরিবারকে ফোন করে এক কোটি টাকার মুক্তিপন দাবি করা হয়।
অমিতাভ বলেন,"এই ঘটনার পর আমার স্ত্রী দত্তপুকুর থানায় অভিযোগ করেন।পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।আমার ধারণা গাড়িতে থাকা মহিলা সহকর্মী ওই তিনজনকে ভাড়া করে নিয়ে এসেছিলেন।" বারাসত আদালতে তোলার সময় ধৃতদের দাবি,
কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করেছে অমিতাভ বসু। উল্টে এই সব নাটক করছে। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বহু টাকা তুলেছে সে।
দত্তপুকুর থানা পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে এবং ধৃতদের মোবাইল ট্র্যাক করে নদীয়ার চাকদহ থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
No comments